সত্য বলার অধিকার
লিখেছেন লিখেছেন এফ শাহজাহান ১৭ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:২৪:১৩ সন্ধ্যা
মি: জাফর ইকবাল, আপনার যদি মাঝে মধ্যে সত্য বলার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে একথা স্বীকার করবেন যে, সরকার যখন কোন রাষ্ট্রের নাগরিকের ‘সত্য বলার অীধকার’ ছিনিয়ে নেয়,তখন সেখানে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা নিয়ে নাগরিক সংকট তৈরী হয়। আপনি নিশ্চয় স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে ,বর্তমান সরকার সকল নাগরিকের সত্য বলার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। কী ভাবে নিয়েছে ?
কেন নিয়েছে ? সে সব আপনার মত সচেতন মানুষকে মনে হয় বুঝিয়ে বলার দরকার নেই।
আপনি অধিকারের ৬১ জনের তালিকা চেয়ে বেশ বড় বড় কথা বলেছেন এবং বুঝাতে চেয়েছেন যে
আপনি ছাড়া দেশের আর সবাই মিথ্যা বলেন। এবার একটু বুকে হাত দিয়ে বলুন তো,আপনারা ৪২ বছর ধরে বলে বেড়াচ্ছেন গোলাম আযম, নিজামী,সাঈদী যে ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করেছে এবং যে দুই লাখ মা বোনকে ধর্ষন করেছে তার কয় জনের তালিকা আছে আপনাদের কাছে?
সরকার অধিকারের কাছে ৬১ জনের তালিকা চেয়ে যদি আদিলুরকে রিমান্ডে নিতে পারে তাহলে
নাগরিকরা কী সরকারের কাছে ৩০ লাখ শহীদের তালিকা এবং দুই লাখ ধর্ষিত মা বোনের তালিকা চাইতে পারে না? এই তালিকা চেয়ে যদি রাষ্ট্রের নাগরিকরা আপনাদের মত প্রোপাগান্ডিস্টদের রিমান্ডের দাবি জানায় সেটা কী অন্যায় হবে ? আপনার বিবেক কী একবারও বলে না যে ৩০ লাখ শহীদদের চিহ্নিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ? সেইসব শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো দেশের সকল নাগরিকের দায়িত্ব?আপনার বিবেক কী একবারও বলে না, যে দুই লাখ নারীকে সাঈদী ধর্ষন করলো তার অন্তত একজনকেও খুজে বের করা দরকার যিনি হলফ করে বলবেন যে সাঈদী তাকে ধর্ষন করেছে? আমি ভাবতে চাইনা যে আপনাদের বিবেক বন্দী ।
আমি ভাবতে চাই আপনাদের মত জ্ঞানপাপীরা সাহস করে এটুকু বলবেন যে, রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সত্য বলার অধিকার আছে।সরকার যদি নাগরিকের সেই সত্য বলার অধিকার কেড়ে নেয় তাহলে সেই রাষ্ট্র মিথ্যাজীবীদের মিথ্যা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে। তখন মিথ্যা বলার অীধকার নিয়ে আপনার ভাবনাটাকেও মিথ্যই মনে হয়। তাই নয় কী ?
বিষয়: বিবিধ
২০৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন